
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১.২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইট ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘চোখে ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতদের মধ্যে সিএমএইচ থেকে তিনজন ও ঢামেক হাসপাতাল থেকে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ বেলা ১১.২০ মিনিটে ব্যাংকক পাঠানো হবে।’
আহতরা চোখ ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনজন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন মোহাম্মদ ইসরাফিল (১৫), রোমান ঢালী (১৭) ও তাহসিন হোসেন (১৩)। আর ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন রাজিব (৩৬), মিজানুর রহমান ও হাফিজুর রহমান হাবিব।
জানা গেছে, আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ ইসরাফিলের বাম হাতের নার্ভ সিস্টেম পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। একই সাথে ভেঙ্গে গেছে হাড়। আর রোমান ঢালি ও তাহসান হোসেনের গুলি লেগেছে পিঠে। এতে তাদের স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা হাঁটাচলা করতে পারছেন না। মূলত রোবটিক ফিজিওথেরাপির জন্যই তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়া রাজিব গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মাথায়। আর মিজানুর রহমান মুখে গুলিবিদ্ধ হলে তার মুখমণ্ডলের অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যায়, তার মুখমণ্ডলের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। অপরদিকে স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হাফিজুর রহমান হাবিবকেও নেওয়া হচ্ছে রোবোটিক ফিজিওথেরাপির জন্য।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার চোখের চিকিৎসার জন্য ইমরান হোসেন ও মহিউদ্দিনকে সিঙ্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে চোখের চিকিৎসার জন্য সাতজনকে সিঙ্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে ২২ জনকে।
আজ আহতদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান।