
মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে ও তাদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগ প্রতিষ্ঠা, কোর্স চালু, প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, সকল জেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল হাসপাতালে এ সংক্রান্ত সেবা চালুসহ দেশব্যাপী ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের বিস্তৃত প্রসার সময়েরই দাবি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন এর ৬ষ্ঠ আন্তজার্তিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এই মতামত দেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। সম্মলনে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ডা. এ এস এম আরেফিন আহসান, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. মোঃ আসাদুজ্জামানসহ অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন এমন একটি বিষয় যা যেকোনো মানুষের যেকোনো সময় প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন এর পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিলে বিএসএমএমইউতে এই বিভাগটি চালুর ক্ষেত্রে বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক বিভিন্ন সোসাইটির কার্যক্রম সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের জানাতে ইন্টারএ্যাক্টিভ সেশন বিষয়ক প্রোগ্রাম করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অন্য বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিএসএমএমইউ, বারডেম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিষয়ে উচ্চতর কোর্স চালু রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে ৯৫ জন শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনে অধ্যয়ন করছেন বা পাইপ লাইনে রয়েছে প্রায় ২ শত জন। যা ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের বিস্তৃত প্রসারে ক্ষেত্রে খুবই কম। ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের শয্যা সংখ্যা সারা দেশে মাত্র ৩ হাজার। চাহিদার তুলনায় এই সংখ্যা একেবারেই নগন্য। একই সাথে ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের বিভিন্ন সাব স্পেশিয়ালিটি প্রসারের দরকার। এমন একটি সাব স্পেশিয়ালিটি হলো এভিয়েশন ইনটেনসিভিস্ট, যা অনেক দেশেই নাই, কিন্তু এর প্রয়োজন রয়েছে। বক্তারা উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে আইসিইউ বিষয়ক অত্যাধুনিক গাইড লাইন তৈরি, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা চালু, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সদের প্রয়োজনীয় উন্নত প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।